করোনা মহামারির কারণে সাত মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর রোববার খুলে দেয়া হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক।
মন্ত্রণালয়ের আদেশ পাওয়ার পর কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারার পার্কটিতে গজানো ঝোপঝাড় ও ঘাষ কাটা হয়েছে।
গত ছয় মাসে দর্শনার্থী বন্ধ থাকায় ভেতরে বন্যপ্রাণীর বেষ্টনীর ভেতর ও সড়কের দুই পাশে কয়েক ফুট উচ্চতায় ঝোপঝাড় গজিয়ে যায়।
মানুষের আনাগোনা না থাকায় করোনাকাল প্রাণীদের জন্য ছিল স্বস্তিকর। এই সময়টায় জনমানবহীন পার্কে বেশ কিছু নতুন প্রাণীর জন্ম হয়েছে। বিরল প্রজাতির প্রাণির ঘরেও এসেছে নতুন অতিথি।
পার্কে ৫২ প্রজাতির আবদ্ধ আর উন্মুক্ত পরিবেশের ১২৩ প্রজাতির বন্যপ্রাণী ও পশু পাখি রয়েছে। এর মধ্যে ১৩ প্রজাতির প্রাণী ও পশুপাখির নতুন করে প্রজনন হয়েছে।
হাতি, বিরল প্রজাতির আফ্রিকান ওয়াইল্ডবিস্ট, জলহস্তী, চিত্রা হরিণ, প্যারা হরিণ, মায়া হরিণ, বানর, বিলুপ্তপ্রায় কালিম পাখি, সাধারণ প্রজাতির ময়ূরসহ বিভিন্ন পশু-পাখির ঘরে নতুন অতিথি দেখতে পারবে দর্শনার্থীরা।
নতুন জন্ম নেয়া প্রাণীগুলো পর্যটক-দর্শনার্থীদের ভ্রমণে আনন্দের নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
করোনা ভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে পার্কটি
কর্মচারী আহসান উল্লাহ খন্দকার বলেন, ‘বিভিন্ন প্রাণী রাখার বেষ্টনীর ভেতর ও আশপাশের সড়কে কয়েক ফুট উচ্চতার গজিয়ে ওঠা ঝোপঝাড় কেটে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে তোলা হয়েছে।’
পার্কের সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী নিউজবাংলাকে জানান, পার্কে এলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। একসঙ্গে খুব বেশি মানুষকে ঢুকতে দেয়া হবে না।
পার্কের প্রকল্প পরিচালক এবং বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবু নাছের মো. ইয়াছিন নেওয়াজ বলেন, ‘বন্যপ্রাণী ও পশুপাখির ছানাগুলো তো আছেই। পাশাপাশি পুরো পার্ককে নতুন করে সাজানো হয়েছে।’
গত মার্চের শুরুতে দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়লে ১৯ মার্চ সাফারি পার্ক বন্ধ ঘোষণা করা হয়।